একজন কাটিং মাষ্টার হওয়ার গল্প।কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়



আসলে শুধু আমার জীবনের গল্পটাই নয় প্রত্যকের জীবনের কাজ শিখা বা কাজে সফল হওয়ার গল্পটা আলাদা আলাদা।দর্জি কাজে এসে যখন একটু ভালোভাবে সেলাইটা শিখলাম এবং মুটামুঠি সেলায়ে একটু সিনিয়ার হয়ে উঠলাম তখন থেকেই চেষ্টা ছিল কাটিং শেখার বা একজন কাটিং মাস্টার হওয়ার।আমি যেই দোকানে কাজ শিখেছি সেই দোকানে 4-5 বছর কাজ করার পর কোনো একটা কারণে মহাজনের সাথে আমার একটু ঝামেলা হওয়ার কারনে আমি ঐ দোকান থেকে  কাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য একটা দোকানে গিয়ে কাজ শুরু করি।

কোনো কাজে কিভাবে সফলতা অর্জন করা যায়।

কাজের ফাকে ফাকে টুকটাক কাটিং দেখতাম। এবং ঐ দোকানেও এক থেকে দের বছর কাজ করার পরে।আমি এক দিন অসুস্ত হয়ে পড়ি।অসুস্ত হওয়ার পরে দুই মাসের মত বাড়িতে ছিলাম।বাড়ি থেকে এসে আবার কাজ শুরু করলাম।দুই তিন মাস কাজ করার পরে কোনো একটা কারণে দোকানের কাটিং মাষ্টার কাজ ছেড়ে দেয় এবং গ্রামে চলে যায়।দোকানের মহাজন দোকানের জন্য মাষ্টার খুজতে লাগল। অনেক খুজাখুজি করার পরেও কোনো মাষ্টার পেল না।এই সুযুগে আমি মহাজনকে বল্লাম ভাই আমি কাটিং শিখবো। মহাজন একটা বড় টুকরা কাপড় দিল এবং একটা জামার মাপ দিয়ে বল্ল এই মাপে একটা কামিজ কাটিং কর।কাটিং সম্পর্কে আমার তেমন কোনো ভালো  ধারনা ছিল না।

তবুও মাঝে মাঝে কাটিং দেখে যত টুকু ধারনা ছিল ঐ অনুযায়ী কাটিং করলাম ও মহাজনকে একটু একটু জিঞ্জাসা করে নিলাম।কাটিং শেষ করে মহাজনকে দেখালাম মহাজন দেখে বল্ল তেমন ভালো হয়নি।আমাকে বল্ল কয়েক দিন সামনে টুকটাক কাজ করতে যদি কাজ দেখে মহাজনের ভালো লাগে তাহলে আমাকে কাটিং মাষ্টার হিসাবে দাড় করাবে।আমি সেলাই বাদ দিয়ে সামনে এসে টুকটাক কাজ করতে শুরু করলাম।যেমন:অলটার করতাম,এক সাতে অনেক গুলু কাজ থাকলে  মহাজন একটা কাজ কেটে দিত এবং ঐটা দিয়ে বাকি কাজ গুলু আমি কাটিং করতাম।এভাবে 15-20 দিন কাজ করার পরে মহাজন আমাকে বল্ল তুমি কাটিং মাষ্টার হিসাবে কাজ কর। তারপর থেকে কাটিং মাষ্টার হিসেবে কাজ শুরু করলাম।
সেলাই কাজ 

জীবনে সফলতা পাওয়ার শেষ দিক
ছোট থেকে বড় হওয়ার উপায়

যতটুকু পারতাম নিজে কাটতাম আর বাকিটা মহাজনের কাছ থেকে জিঞ্জাসা করে করে কাটিং করতাম।এবং কাষ্টমারের কাছ থেকে কিছু কিছু অর্ডারও বুজে রাখতাম।কাস্টমারের মাপ নিতে পারতাম না।নতুন হওয়ার কারণে অনেক ভুল হত এবং বেতন অনেক কম ছিল। নতুন নতুন সব যায়গায় বেতন একটু কম থাকে ।এভাবে 1-1½ এক দের  বছর কাজ করার পর যখন মুটামুঠি ভাবে কাটিং পারি তখন আস্তে আস্তে বেতনও বাড়াতে শুরু করল।

এবং 3-4 বছর কাটিং করার পর ভালোই সিনিয়ার হয়ে উঠলাম।এবং আস্তে আস্তে নিজে দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করার চিন্তাভাবনা করতে লাগলাম।এখন জীবনের প্রথম কর্মস্তলে আসার দিন গুলুর কথা মনে পড়ে যায়। যখন নতুন হাতের কাজ শুরু করলা ভাবছিলাম কবে কারিগর হব কারিগর হলাম!ভাবতাম কবে সিনিয়ার হব।সিনিয়ার হলাম তারপর ভাবতে লাগলাম কবে কাটিং মাষ্টার হব! কাটিং মাষ্টার হলাম এখন ভাবছি কবে দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করব।
 
জীবনে সফলতা পাওয়ার উপায়

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url