সেলাই কাজ শেখার সহজ উপায় এবং টেইলারিং বিজনেস শুরু করার উপায়

সেলাই কাজ শেখা

আসসালামু আলাইকুম।

আমাদের ভালোভাবে জীবন যাপন করার জন্য কোনো চাকরি অথবা কোনো ব্যবসা করতে হবে।জীবনে ভালো কোনো চাকরি পেতে হলে ভালো যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।আর কোনো কাজ শিখতে হলে কাজের পিছনে মুঠামুঠি আপনাকে  সময় দিতে হয়।জীবনে তারাই ভালো কিছু করেছে যারা কষ্ট করে ভালো কোনো যোগ্যতা অর্জন করেছে বা কোনো কাজের পিচনে সময় দিয়ে আস্তে আস্তে ছোট থেকে বড় হয়েছে।জীবনে সফল ব্যক্তি হতে চাইলে বা ভালো কিছু করতে হলে জীবনে কষ্ট ও পরিশ্রম করতেই হবে।সফলতা পাওয়ার জন্য আমরা যেকোনো কাজ শুরু করতে পারি।কোনো কাজকে ছোট মনে করে অবহেলা করলে হবে না।জীবনে ভালো কিছু করতে হলে আপনাকে ছোট থেকেই আস্তে আস্তে বড় হতে হবে।আমি নিজে সেলাই কাজ দিয়ে সফলতার যাত্রা শুরু করেছি। তাই কিভাবে সেলাই কাজ তারাতারি শিখতে পারবেন ও ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো।


সেলাই কাজ শিখতে

খুব তারাতারি সেলাই কাজ শেখার উপায়।

সেলাই কাজ অনেক ভাবেই শেখা যায়।কাজ শেখার জন্য আপনার বাসার আশেপাশে কোনো টেইলার্সের দোকানে গিয়ে শিখতে পারেন।অনেকে মনে করেন অনলাইনে  সেলাই কাজ শিখবে কিন্তু অনলাইন থেকে সেলাই কাজ শিখতে পারবেন না বা যদিও কাজ শিখতে পারেন তাহলে অনেক সময় লাগবে।কোনো দোকানে বা ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে কাজ শিখলে খুব তারাতারি শিখতে পারবেন এবং শেখার পর যদি টুকটাক কোনো কিছু না বুঝেন তাহলে সেই গুলু অনলাইনে থেকে শিখতে পারেন কিন্তু পুরো দর্জি কাজ অনলাইন থেকে শেখার চেষ্টা করা বোকামি।আপনারা ট্রেনিং সেন্টার গিয়ে কাজ শিখলে তিন মাসে থেকে ছয় মাসে কাজ শিখিয়ে দেয়।আর কোনো টেইলারিং দোকানে গিয়ে কাজ শিখলে ১ থেকে দের বছরের মত সময় লাগবে।দোকানে কাজ শেখায় বেশি সময় লাগলেও ট্রেনিং সেন্টারের থেকে টেইলার্সের দোকানে কাজ শেখা অনেক ভালো এবং টেইলার্সে কাজ শিখলে অনেক ধরনের কাজ শিখতে পারবেন ও অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পাবেন।

সেলাই কাজ ও কাপর কাটিং শেখা কাটিং মাষ্টার হওয়া।

কাপর কাটা ও সেলাই একসাথে শেখার থেকে প্রথমে সেলাই শিখে তারপর কাটিং শিখলে অনেক ভালো হয়।কারণ সেলাই শিখলে কাপর কাটিং সম্পর্কে অনেক ভালো ধারনা হয়ে যায়। তাই পরে কাটিং শেখাটা অনেক সহজ হয়ে যায়।সেলাই শেখার পর কাপর কাটিং শিখতে সময় লাগতে পারে ২ মাসের মত।টেইলারিং কাজের উপর আপনি ব্যবসা করতে হলে আপনাকে  কাটিং ও সেলাই দুইটাই ভালোভাবে শিখতে হবে।সেলাই কাজের ভিতরে দুই ধরনের কাজ রয়েছে ১) লেডিস  ২) জেন্স।

১)লেডিস কাজ শহরে দিকে দোকান গুলুতে বেশি হয় এবং লেডিস কাজের রেট অনেক ভালো পাওয়া যায় শহরের দিকে।সেডিস কাজে ঝামেলা একটু বেশি থাকে ও অনেক ধরনের ডিজাইন থাকে।

২) জেন্স কাজ শহরের থেকে গ্রামের দিকে বেশি হয়।গ্রামে জেন্স কাজের ভিতরে পাঞ্জাবি ও শার্টের কাজ বেশি হয়। যারা শহরের দিকে সেলাই কাজ করতে চান তারা লেডিস বা জেন্স যে কোন একটা শেখেন সমস্যা নেই ২ ধরনের কাজে ভিতরেই অনেক ভালো রেট পাওয়া যায়।আর যারা গ্রামের দিকে কাজ করতে চান তারা জেন্স কাজ শিখলে  অনেক ভালো হয় বিশেষ করে শার্ট ও পাঞ্জাবির কাজ।

#নতুন সেলাই মেশিনের দাম#

নিজের ব্যবসা শুরু করা ও ব্যবসা সফলতা পাওয়া।

টেইলারিং ব্যবসা করলে লস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারন টেইলার্সের ব্যবসায় পুজি কম লাগে ও লাভ বেশি হয়।টেইলার্সের কাজের ভিতরে ব্যবসা দুই ধরনের ১) রেডিমেট কাজ ২) অর্ডারী কাজ।
## রেডিমেট কাজ অনেক ভাবেই করা যায়।রেডিমেট কাজ আপনারা বাইরের কোম্পানি থেকে এনে নিজে শুধু একটা কারখানা নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির থেকে কাজ এনে নিজেরা কেটে সেলাই কমপ্লিট করে আবার কোম্পানিকে কাজ বুঝিয়ে দিবেন।এছারা নিজে কাপর এনে কেটে ড্রেস,বোরকা ও শার্ট তৈরী করে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি সেল দিতে পারেন।নিজে শো-রুম ও কারখানা নিয়ে কারখানায় বিভিন্ন ড্রেস তৈরী করে নিজেদের শো-রুমে বিক্রি করতে পারেন।
##অর্ডারী কাজ  আপনারা নিজের দোকান নিয়ে কাষ্টমারে কাছ থেকে অর্ডার রেখে কাজ করে তারিখ মত ডেলিভারি দিবেন।অর্ডারী কাজে কাষ্টমারেকে যত ভালো কাজ দিতে পারবেন তত বেশি দিন দিন আপনার কাষ্টমার বাড়তে থাকবে ও চাইলে ব্যবসা,বড় করতে পারবেন।আর শুধু টেইলার্সের দোকানের পাশাপাশি শার্টের হোল মেশিন, এমব্রয়ডারি মেশিন ও পিকু বা ঝিকজাক সেলাই মেশিন রাখতে পারেন অথবা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url